শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত ১৬কেজি গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার অসহায় বিধবার জমি দখলের পায়তারা ভূমিদস্যুর গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কার জনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে- অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ডিলারগণ কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চমূল্যে সার বিক্রয় করে এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত ১০দিন ব্যাপী ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত ৭৩২বোতল এস্কাফ এবং ১০০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দসহ ৪জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
লালমনিরহাটের প্রবেশদ্বার মিশন মোড় গোলচত্বর

লালমনিরহাটের প্রবেশদ্বার মিশন মোড় গোলচত্বর

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ ও হেলাল হোসেন কবির: মিশন মোড় গোলচত্বর দেশের প্রায় অংসখ্য মানুষের কাছেই একটি পরিচিত নাম। এটি লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলায় অবস্থিত। লালমনিরহাটের প্রবেশদ্বার হওয়ায় এই স্থানটির পরিচিতি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার রাজধানীর সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক পথের প্রবেশদ্বার হলো- মিশন মোড় গোলচত্বর। ক্রমেই স্থানটির গুরুত্ব বেড়ে চলছে। এখানে অভিজাত্য খাবার হোটেল রয়েছে প্রায় হাফ ডজন। এছাড়া বড় বড় নামীদামী আবাসিক হোটেলও রয়েছে। এখানে গড়ে উঠেছে বেসরকারি হাসপাতালসহ বেশ কিছু ক্লিনিক। এই স্থানটিকে কেন্দ্র করেই এখানে বিভিন্ন স্থাপনা করা হয়েছে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকার কারনে গোলচত্বরের অনতিদূরে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। আশপাশে গড়ে উঠেছে একাধিক বাজার ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ব্যবসার প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন গোলচত্বর দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে। সব দিক দিয়ে স্থানটির কদর ক্রমেই বেড়ে চলছে। এখানে ১শতক জমির বর্তমান মূল্য কমপক্ষে ৩ থেকে ৫লক্ষ টাকা।

 

মিশন মোড় গোলচত্বরের পরিচিতি ও কদর বাড়লেও সেবার মান বাড়েনি এখান দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের। প্রায় ১যুগ ধরে এখানে কোন যাত্রী ছাউনি নেই। ফলে ঝড়, বাদলে ভিজে ও রোদে পুড়ে চলাচল করতে হয় যাত্রীদের। অপরদিকে এখানে নেই কোন পাবলিক টয়লেট। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

 

যাত্রীদের ব্যাগ ছিনতাই, পকেটমার ও চুরি-ডাকাতি এখানে ঘটে থাকে অহরহ। অন্যদিকে এক শ্রেণির অসাধু লোকজনের প্রত্যক্ষ মদদে এখানে বিমান বাহিনীর জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু প্রভাবশালী লোকজন জায়গা দখল করে বাসা-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ভাড়া দিয়ে খাচ্ছে। এতে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে ফুটপাথ। যার ফলে প্রায় সময়ই এখানে ঘটে বিশাল যানজট।

 

উল্লেখ্য যে, লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় গোলচত্বর। বড়বাড়ি-লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের এ স্থানটি দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। পথচারীদের আকৃষ্ট করতে এখানে স্থাপন করা হয়েছিল একটি আলোকিত স্তম্ভ ও ফোয়ারা। অথচ দীর্ঘদিন ধরে ফোয়ারাটি বিকল পড়ে আছে।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, খোর্দ্দসাপটানা এলাকার আলোকিত স্তম্ভ ফোয়ারাটি আগের সৌন্দর্য আর নেই। মরচে ধরা ও ভাঙা যন্ত্রাংশ দেখে বোঝার উপায় নেই, শেষ কবে এটি পানি ছিটিয়েছে। ফোয়ারায় পানি নেই।

 

আরও জানা গেছে, ২০০৬ সালে আলোকিত স্তম্ভটি নির্মাণ হয়। এরপর ২০১৬ সালে সেখানে একটি ফোয়ারা স্থাপন করা হয়। লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় গোলচত্বর আলোকিত স্তম্ভ সংলগ্ন প্রায়ই বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone